এই মাত্র জাতীয় প্রিয় লেখক বাংলাদেশ ব্রেকিং মু: মাহবুবুর রহমান

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে মন্ত্রিসভা কমিটি

মু: মাহবুবুর রহমান

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর) উদযাপন করবে বাংলাদেশ। আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণাঢ্য উদযাপনের লক্ষ্য নিয়ে একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করেছে সরকার।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আহবায়ক করে নয়জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করে গেজেট জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এ ছাড়া কমিটিকে সহায়তা করার জন্য যেসব কর্মকর্তা রয়েছেন তারা হলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পররাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, অর্থ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, যুব ও ক্রীড়া সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব, তথ্য সচিব এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এই কমিটিকে সার্বিক সহায়তা দেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

কমিটিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কর্মসূচি প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত করা জাতীয় কর্মসূচি পর্যালোচনা, সংযোজন বা বিয়োজন করতে বলা হয়েছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মাঠ পর্যায়ে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই কমিটিকে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সুপারিশ দেয়া ছাড়াও কমিটিকে উপযুক্ত বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য যে কোনো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

গেজেটে বলা হয়েছে, কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো ব্যক্তিকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজনানুসারে হবে।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে মুজিববর্ষ উদযাপন করছে বাংলাদেশ। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে পালন করতে না পারায় ইতোমধ্যে মুজিববর্ষের মেয়াদকাল ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর চলে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। আর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

Related posts

এ বছর শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুটি মানবাধিকার সংগঠন

Mims 24 : Powered by information

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথভাবে কাজের বিপুল সুযোগ রয়েছে

razzak

গর্ভপাত ইস্যু, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ফাঁস হওয়া খসড়া প্রস্তাবে তোলপাড়: রিপোর্ট

razzak

Leave a Comment

Translate »