এই মাত্র জাতীয় প্রিয় লেখক বাংলাদেশ ব্রেকিং মু: মাহবুবুর রহমান

রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনা ও প্রত্যাবাসনে জাতীয় কমিটি

মু: মাহবুবুর রহমান

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি’র আহবায়ক করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।এ বিষয়ে ১৪ ডিসেম্বর গেজেটও প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জাতীয় এই কমিটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

১৭ সদস্যের এই কমিটির আহবায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতীয় এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, সুরক্ষাসেবা সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের (এনএসআই) মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।

জাতীয় এই কমিটিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যবস্থাপনা ও প্রত্যাবাসনসহ সব কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এই কমিটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির কার্যক্রম, নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন, পুনঃনিরীক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও দেখতে বলা হয়েছে।

গেজেটে বলা হয়, কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তিকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাতে পারবে। প্রতি তিন মাসে অন্তত: একটি সভা করতে হবে এ কমিটির। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে যেকোনো সময়ে সভা করতে পারবে জাতীয় এ কমিটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আর আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলো আরও চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত এ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। কক্সবাজারের জনাকীর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পর্যায়ক্রমে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর জন্য ভাসানচরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী স্থানান্তরের প্রথম পর্যায়ে গত ৪ ডিসেম্বর ভাসানচরে গেছে এক হাজার ৬৪২ জন।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থার অভাবের কারণে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে দুবার তাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ ২০১৭ সালের পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি আজও।

Related posts

ভারতের বাজেটে: কৃষি-রাসায়নিকে ৩৫০ শুল্কছাড় প্রত্যাহার

razzak

বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে

razzak

কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০

razzak

Leave a Comment

Translate »