মু: মাহবুবুর রহমান, নিউজিল্যান্ড থেকে
অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক উত্তেজনা নিরসনে সহায়তা করতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা বলেছেন, উভয়পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনতে নিউজিল্যান্ডের সামনে সুযোগ হিসেবে আসতে পারে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) সম্মেলন।
১৫ই ডিসেম্বর রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নানাইয়া মাহুতা বলেন, “নিউজিল্যান্ড আগামী বছরের এশিয়া প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) শীর্ষ আয়োজন করবে এবং এ সম্মেলন উভয় পক্ষকে এক টেবিলে আনার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে।“ তিনি আরো বলেন, “এপেক আয়োজন ভালো সুযোগ হয়ে উঠতে পারে… উভয়পক্ষেরই একত্রে বসার মানসিকতা থাকতে হবে এবং সম্মতি জানাতে রাজি থাকতে হবে যেখানে তারা পরস্পর পরস্পরকে দেখতে পারছেন না।“
অস্ট্রেলিয়ার নতুন বিদেশি হস্তক্ষেপ ও বিনিয়োগ আইন এবং করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য চীনকে দায়ী করার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। সেই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে ওঠে গত মাসে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক অস্ট্রেলীয় সেনার ‘ভুয়া ছবি’ টুইটারে পোস্ট করার পর। ওই ছবিতে এক আফগান শিশুর ওপর রক্তাক্ত ছুরি ধরে থাকতে দেখা যায় ওই সেনাকে। ছবিটি ভুয়া বলে দাবি করে অস্ট্রেলিয়া।
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা বলেন “আমি মনে করি না, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে তা টুইটার কূটনীতির মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। আমি মনে করি আমাদেরকে পরীক্ষিত কূটনীতির দিকে ফিরে যাওয়া দরকার, যা সংলাপ এবং সবার জন্য দরজা উন্মুক্ত রাখার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারে।“
নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী গোষ্ঠী মাওরি সম্প্রদায় থেকে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া নানাইয়া মাহুতা বলেন, “নিউজিল্যান্ডের আত্মীয়তার সম্পর্কগুলো এশিয়া অঞ্চলের সঙ্গে মিলে যায় যা আমাদেরকে অন্য দেশের তুলনায় চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।“
# মু: মাহবুবুর রহমান ; নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক