বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে মাত্র ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও জেমকন খুলনা লড়াই করেছে এবং জিতে শিরোপা ঘরে তুলেছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের। টসে জিতে জেমকন খুলনাকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসেই খুলনাকে এনে দেয় এই ম্যাচে লড়াই করার পুঁজি। তাতেই হারিয়ে দেয় আসরের অন্যতম ধারাবাহিক দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে।
আগের ম্যাচে ৮০ রানের ইনিংস খেলা জহুরুল ইসলাম অমি ব্যাট করতে নেমেই হতাশ করেন । নাহিদুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন রানের খাতা খোলার আগে। আরেক ওপেনার জাকির হোসেনের ২৫ রান করে বিদায় নেয়ার আগে দুই নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইমরুল কায়েস ফেরেন ৮ রান করে।
দলের বিপর্যয়ে মাহমুদউল্লাহ হাল ধরেন আরিফুল হককে নিয়ে। তবে আরিফুল ২১ রান করে ফিরলে মাহমুদউল্লাহ একপ্রান্ত আগলে রেখে বড় করতে থাকেন সংগ্রহ।
৪৮ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষ পর্যন্ত দলকে এনে দেন ৭ উইকেটে ১৫৫ রানের সংগ্রহ। চট্টগ্রামের হয়ে ২ টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, ১টি করে নেন মোসাদ্দেক হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমান। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ভালোই শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। যদিও ২৬ রানে জুটি ভাঙে সৌম্যর ১২ রানের বিদায়ে।
এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ফেরেন ৭ রানে। চাপে পড়া চট্টগ্রামকে টেনে তোলার চেষ্টা সৈকত আলীর। তবে লিটন দাস দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। ২৩ বলে ২৩ রানে সাজঘরে ফেরে বিপাকে ফেলেন দলকে। শামসুর রহমান শুভর ২১ বলে ২৩ রানে বিদায়ের পর মোসাদ্দেক হোসেনও ফেরেন ১৪ বলে ১৯ রান করে। সৈকত একা আর টেনে নিতে পারেননি দলকে।
শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে থামেন দলীয় ১৪৩ রানের মাথায়। বাকি কটা রান তুলতে পারেননি চট্টলার লোয়ার-অর্ডারের ব্যাটাররা। ৬ উইকেটে ১৫০ রানে থেমে ৫ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে আসরের ধারাবাহিক দল চট্টগ্রাম। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম, ১টি করে উইকেট নেন শুভাগত হোম, আল আমীন ও হাসান মাহমুদ।