মু: মাহবুবুর রহমান
আগামী বছর মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছে টাইগাররা। ফলে প্রায় এক বছর পর আগামী মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা ফেলবে তারা।
যতোটা জানা গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। যেমনটা বাধ্যতামূলক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের নিউজিল্যান্ড সফরে। আর বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে কোনো বিদেশী সাংবাদিককে খেলার খবর সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিসিবিকে জানিয়েছে ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। চলমান পাকিস্তান কিংবা তার আগের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও যেটি বলবত ছিলো।
বিশ্বের অন্যতম সুন্দর নিউজিল্যান্ডে পর্যটকদের ভীর লেগে থাকে সবসময়। কিন্তু করোনা মহামারীর পর থেকে বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় সীমান্ত, যা এখনো বলবৎ আছে। প্রেক্ষিতে বিদেশি সংবাদ কর্মীরাও যেতে পারবে না নিউজিল্যান্ডে। তাই মার্চে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড সিরিজে কোন বিদেশি সাংবাদিক সিরিজ কাভারের সুযোগ পাচ্ছে না।
কোভিড-১৯ এর শর্ত পূরণের জন্য ফেব্রুয়ারিতে এসে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে বাংলাদেশ দলকে। যতদূর জানা গেছে বাংলাদেশ দলকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ডের লিংকন শহরে আর প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আরেক শহর ডানেডিনে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে ২০২১ সালের ১৩ মার্চ।
ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ডানেডিনে হবার পর পরের দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৭ ও ২০ মার্চ। দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে ক্রাইস্টচার্চে, তৃতীয়টি ওয়েলিংটনে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২৩ মার্চ, নেপিয়ারে। ২৬ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হবে অকল্যান্ডে। ২৮ মার্চ শেষ টি-টোয়েন্টি হবে হ্যামিল্টনে।
সর্বশেষ ২০১৯ ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের আগে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায় তামিম-মুমিনুলরা। ঐ হামলার পর তৃতীয় টেস্ট না খেলেই দেশে ফিরেছিল টাইগাররা।