মু: মাহবুবুর রহমান
নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ২০২১ এর পহেলা জানুয়ারী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার অনুমোদন দেয় ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এর একদিন পর ২রা জানুয়ারী নিজেদের উদ্ভাবিত করোনা টিকার অনুমোদন দেয় ঐ বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এ নিয়ে ভারতে দুটি করোনা টিকার জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হলো।
ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া এই দুটি টিকার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এরপর ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের (ডিসিজিআই) দপ্তরে পাঠানো হবে। আর ড্রাগ কন্ট্রোলারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে ভারতে। তখন কবে থেকে ভারতে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হবে তা এখনো জানা যায়নি।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। আর নতুন অনুমোদন দেয়া টিকাটি ভারতেই আবিষ্কৃত হয়েছে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘কোভ্যাক্সিন’ (Covaxin)। ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা আইসিএমআরের সাথে যৌথ উদ্যোগে ভারত বায়োটেক এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।
অক্সফোর্ডের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’, ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ ছাড়াও ফাইজারের করোনা টিকা জরুরি অনুমোদনের জন্য ভারতে আবেদন করা হয়েছিল। তবে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন এখনো দেয়নি ভারত।
দুটি টিকার অনুমোদন পাওয়া গেলেও কোনটি দিয়ে ভারতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে তা জানা যায়নি। তবে যে টিকা দিয়েই শুরু হোক ভারতে করোনা ভ্যাকসিনেশন শুরু হচ্ছে অতি দ্রুত। ইতোমধ্যে ড্রাই রানও সম্পন্ন করেছে ভারত। ড্রাই রান মানে শুধু টিকাটা দেয়া হচ্ছে না। বাকি সব কিছু দেখা হচ্ছে। টিকা যাঁরা দেবেন, তাঁরা কতটা প্রস্তুত, যে কোল্ড স্টোরেজে টিকা রাখা হবে তার অবস্থা কেমন, সেখান থেকে টিকা দেয়ার কেন্দ্রে কীভাবে ভ্যাকসিন যাবে তার ব্যবস্থা, কীভাবে দেয়া হবে, কাদের দেয়া হবে, সব দেখে নেয়া হয়েছে।
ভারত সরকার জানিয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে পাবেন করোনা টিকা। তারপর দেয়া হবে পুলিশ, পৌরসভার কর্মীসহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোভাগে থাকা কর্মীদের। সেই সঙ্গে বয়স্ক নাগরিক এবং যারা শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন গুরুতর রোগে ভুগছেন, তারা করোনার টিকা পাবেন। তারপর আসবে অন্যদের পালা।
ᐧ