দেশে গণহারে চলমান টিকাদান কর্মসূচির পঞ্চম দিন হিসেবে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) টিকা গ্রহণ করেছেন দুই লাখেরও বেশি মানুষ। করোনার টিকা নিতে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪৬ হাজার টিকা প্রত্যাশিত নিবন্ধন করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে বিশেষ অনলাইন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। নাগরিকদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে সরকার ‘সুরক্ষা’ নামে গুগল প্লে-স্টোরে একটি অ্যাপ এনেছে। ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এছাড়া এ জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। নির্ধারিত লিংকে (https://surokkha.gov.bd/?fbclid=IwAR2JoNs-jIy3vUoJJwdIWZypUmrgFBJGPfjjhTqfvFQogANmIf7NPLVDxgw) প্রবেশ করে টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে। অ্যাপটি ডাউনলোড করে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এছাড়াও ফর্মে নাম, ঠিকানা, পিতা-মাতার নামসহ যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
করোনা টিকা পেতে নিবন্ধনের ওয়েবসাইট দেখতে ক্লিক করুন
করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ৫৫ বছর থেকে কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে ৪০ বছর বয়সীরাও করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা শিথিলের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুশাসন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হবার সাথে সাথেই একটি কার্ড রেজিস্ট্রেশনকারীকে দেয়া হবে। যা প্রিন্ট করে নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে যেতে হবে।
প্রতিজন ভ্যাকসিনের দুইটি করে ডোজ পাবেন। ডোজ দুটি গ্রহণের তারিখ,সময় ও টিকাকর্মীর নাম কার্ডে উল্লেখ থাকবে। ইতোমধ্যে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, হাইকোর্টের বিচারপতিরা টিকা নিয়েছেন।অ্যাপে কোন সমস্যা হলে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
৪০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই সুরক্ষা প্ল্যাটফরমের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
এ ছাড়া রয়েছেন সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী; নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি; সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী; ধর্মীর প্রতিনিধি (সব ধর্ম); মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ব্যক্তি; বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি সেবার সম্মুখসারির কর্মী; রেলস্টেশন, বিমানবন্দর ও নৌবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী; জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মী ও প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।