নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘বসন্ত উৎসব’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া সামনের দিনে টিকে থাকা কঠিন হবে তাই ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালি এক অনন্য জাতি। বিশ্বে খুব কম জাতি আছে যারা ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিস্বত্ত্বা রক্ত দিয়ে রক্ষা করেছে। রক্ত দিয়ে বাঙালি নিজের রাষ্ট্র তৈরি করেছে, তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে বিকশিত করছে, অসাম্প্রদায়িক চেতনা তুলে ধরছে।
করোনাকাল মোকাবেলা ও ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীর কাছে একটি উন্নয়নের রোল মডেল, দেশের শতকরা ৭২ ভাগ করোনা রোগী ঘরে বসে ডিজিটাল চিকিৎসা নিয়েছে। কোভিডকালে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, পৃথিবীর যে কোন উন্নত দেশ থেকে আমরা পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ ভ্যাকসিন দিচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে বসন্তের আগমনি বার্তা এবং বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ছাত্রছাত্রীরা ভার্চুয়াল ভাবে বসন্তকে বরণ করে নিয়েছে। এবারের বসন্ত উৎসব তারা অনলাইন লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে আয়োজন করে। যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা এ অনুষ্ঠানে যোগদান করে ও নিজেদের হাতে বানানো ফেস্টুন, ফ্লায়ার্স, ইনভাইটেশনের মধ্য দিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণকে রাঙিয়ে তুলে যতটা সম্ভব। বাঙালির চিরচেনা ‘ বসন্ত এসে গেছে ‘ গানটির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান এর সূচনা হয় যা পরবর্তীতে আরো কিছু সুন্দর ঐতিহ্যগত নাচ এবং লোকসঙ্গীত এর মাধ্যমে এগিয়ে চলে।
অনুষ্ঠানে আরো ছিল সকলের প্রধান আকর্ষণ ফ্লাশমব এবং ঝটিকা। প্রতিবারের মত এবারও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর সদস্যরা তাদের অভিনয় শিল্প কে তুলে ধরেছিল তাদের প্রদর্শিত ” রম্য বিতর্ক ” অংশটির মাধ্যমে। এই মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানটির অবসান ঘটে গোধূলির রাঙা আলোর ছোঁয়ায়।