কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার নারী পরিবেশকর্মী দিশা রবির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি আদালত। শনিবার দিল্লি পুলিশের অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও আদালত তাকে জামিন দেয়নি। এদিন দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন করে আদালত বলেন , এই টুলকিট শেয়ার করার মাধ্যমে কিভাবে দেশদ্রোহিতার মতো গুরুতর অপরাধ করলেন দিশা? এর স্পষ্ট কোনও যুক্তি আছে, নাকি পুরোটাই সন্দেহের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে?
শনিবার দিশার আইনজীবী জামিনের আবেদন করে বলেন, এই টুলকিট একটি সামান্য তথ্যপত্র মাত্র, এর দ্বারা কিছু প্রমাণিত হয় না। পাল্টা দিল্লি পুলিশ তখন অভিযোগ করে, টুলকিটে দেওয়া ছিল একটি বিশেষ ওয়েবসাইটের লিংক, যেটির মাধ্যমে খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হত। সেই কারণেই এটিকে দেশদ্রোহিতার অংশ বলা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত তিন মাস ধরে বিক্ষোভরত কৃষকদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি দলিল তৈরি এবং বিতরণ করেছেন তিনি।
খালিস্তানি আন্দোলনকারীদের তৈরি ওই টুলকিট সম্পাদনা করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দিশা। পুলিশ বলছে, ‘প্রটেস্ট টুলকিট’ নামে পরিচিতি পাওয়া ওই দলিলটি তৈরি এবং বিতরণের পেছনের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম হচ্ছেন দিশা রবি। এ অভিযোগ অস্বীকার করে এনডিটিভিকে দিশা বলেছেন, টুলকিট তিনি তৈরি করেননি। শুধু দুটি লাইন সম্পাদনা করেছিলেন। দিশাকে গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা প্রতিবাদে সরব হয়েছে।