আন্তর্জাতিক এই মাত্র কোভিড ১৯ প্রিয় লেখক ব্রেকিং মু: মাহবুবুর রহমান স্বাস্থ্য

লন্ডনে করোনার টিকা নিলেন চারটি গিনেস রেকর্ডধারী বৃটিশ বাংলাদেশি পণ্ডিত সুদর্শন দাশ

মু: মাহবুবুর রহমান

করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন চারটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মালিক বৃটিশ বাংলাদেশি ব্যারিস্টার পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। লন্ডনের এক্সেল এক্সিবিশন সেন্টারে ২৫ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেন পন্ডিত সুদর্শন। টিকা নেয়ার পরপরই এক ফেসবুক পোস্টে তিনি তাঁর টিকা নেয়ার কথা জানান।

টিকা নেয়ার পর এক ভিডিও বার্তায় পন্ডিত সুদর্শন জানান, তিনি কোন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করছেন না। তিনি বলেন, “টিকা নিলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়, মায়েদের গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে – এসব পুরোপুরি গুজব। টিকা নেয়ার মাধ্যমেই করোনা দূর করা যেতে পারে। টিকা গ্রহণের পর অনেকের ক্ষেত্রে জ্বর, শরীর ব্যথা বা অন্যান্য স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। কিন্তু সেগুলো মারাত্মক কিছু নয়।”

ভিডিও বার্তায় কোনো ধরণের গুজবে কান না দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের এবং বৃটেনে বসবাসরত বাংলাদেশীদেরও করোনা টিকা নেয়ার আহবান জানান পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টিকা প্রদান করায় তিনি বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা (এনএইচএস) বিভাগকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সন্তান সুদর্শন দাশ একমাত্র বাংলাদেশী যার ঝুলিতে আছে চার চারটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। পণ্ডিত সুদর্শন দাশ ২০১৬ সালে তবলা ম্যারাথনে একটানা ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট, ২০১৭ সালে ঢোল ম্যারাথনে ২৭ ঘণ্টা, ২০১৮ সালে ড্রামরোল ম্যারাথনে ১৪ ঘণ্টা ও ২০১৯ সালে ড্রামসেট ম্যারাথনে ১৪০ ঘণ্টা ৫ মিনিট বাঁজিয়ে ৪টি বাদ্যযন্ত্র সঙ্গীতে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়েন।

করোনাকালে ১০০ ঘন্টা ঢোল, তবলা ও ড্রাম বাজিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে তার সবটাই সরাসরি বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবায় (এনএইচএস) নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স, কর্মীদের জন্য দান করেন পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার অংশ হিসেবে সুদর্শন দাশ ও তার দলের সদস্যরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে স্কুল ব্যাগ, বই, কলম, পেন্সিল ইত্যাদি শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করেন।

বাংলাদেশের গর্ব সুদর্শন দাশ যুক্তরাজ্যে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। ২০১০ সালে তিনি ব্যারিস্টারি পাশ করেন। তবে আইন পড়ার উদ্দেশ্যে লন্ডন পাড়ি জমালেও সংগীত তথা তবলার নেশা তাকে ছাড়েনি। ২০০৪ সালে লন্ডনের নিউহ্যাম এলাকায় ‘তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমি’ প্রতিষ্ঠা করেন সুদর্শন। এখনো সুযোগ পেলেই সুদর্শন দাশ কনসার্টসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে তবলা, ঢোল, ড্রামরোল কিংবা ড্রামসেট বাজান।

Related posts

বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু নিয়ে যেসব তথ্য দিলেন চিকিৎসক

razzak

গ্রামে বা শহরে বাড়ি করতে টিআইএন নিতে হবে

Irani Biswash

বাংলা প্রেস সম্পাদককে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিনন্দন

razzak

Leave a Comment

Translate »