পাকিস্তানে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে এক নির্বাচনে বুথের ভেতর ‘গোপন ক্যামেরা’ পাওয়ার পর সরকারি দল ও বিরোধীরা এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।
দুই পক্ষের হট্টগোলে শুক্রবার পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়ায়ও খানিকটা বিঘ্ন ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থী সাদিক সাঞ্জরানিই জয়লাভ করেন। বিরোধীদের প্রার্থী ইউসুফ রাজা গিলানিকে ৪৮-৪২ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। পরে উচ্চকক্ষে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর রাজা রাব্বানি বুথে ক্যামেরা থাকার ঘটনাকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেন। এ সময় বিরোধী দলগুলোর অন্য সাংসদরাও ‘শেইম’, ‘শেইম’ বলে তাতে সমর্থন জানান।
পিপিপির আরেক সিনেটর মুস্তাফা নওয়াজ খোখার টুইটারে বুথে থাকা ক্যামেরার ছবি পোস্ট করেন। বলেন, ভোট দেওয়ার সময় মাথার উপর ওই ক্যামেরা দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেইন পরে জানান, বুথে যে ক্যামেরা ছিল তা পার্লামেন্ট ভবনের সিসিটিভি নিরাপত্তার অংশ। তবে তথ্যমন্ত্রী শিবলী ফরাজ এই ঘটনার জন্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
‘অশুভ পরিকল্পনার’ অংশ হিসাবে ওই ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগও করেছেন তিনি।
ডন জানিয়েছে, বুথে ‘গোপন ক্যামেরা’ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের পরপরই ওই বুথ বাতিল করে দেওয়া হয়; পরে নতুন আরেকটি বুথে সেনেটররা ভোট দেন।