নিজস্ব সংবাদদাতা: চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষ সাফল্য রোকেয়া-রাবেয়ার জোড়া মাথা আলাদা করা। পাবনার দুই শিশু সাড়ে তিন বছর পর সোমবার বিকেলে বাবা-মায়ের সঙ্গে পাবনার চাটমোহর উপজেলার আটলংকা গ্রামে সুস্থভাবে ফিরলেন। তাদের সাদরে ফুলের শুভেচ্ছায় গ্রহণ করলেণ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিরা।
২০১৬ সালের ১৬ জুন সিজারিয়ার অপারেশনের মাধ্যমে তাসলিমা খাতুনের জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেয় রোকেয়া- রাবেয়া। সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েন শিক্ষক বাবা রফিকুল ইসলাম। জন্মের পর থেকে দুই শিশুর শারীরিক জটিলতা ও পরিবারের দুঃশ্চিন্তার কথা বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে। বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার নজরে আসে।
তিনি সুচিকিৎসার জন্য বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করেন্ পরে উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৮ সালে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাদের হাঙ্গেরির একটি হাসপাতলে ৭ মাস চিকিৎসা দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে সিএমএইচ হাসপাতলে সিএমএইচ ও হাঙ্গেরির মোট ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টানা ৩৩ ঘন্টা অস্ত্রপচার করে দুইবোনকে আলাদা করা হয়। এই সাফল্য অর্জন করতে মোট ৪৮ টি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।