পেশায় চিকিৎসক হলেও ফারহানা মোবিন লেখালেখি করেন শৈশব থেকেই। এইবারের ২০২১ এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ফারহানা মোবিন এর লেখা স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক বই “সুস্থ থাকতে চাই”।
কিভাবে কিছু স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করে আমরা নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবো, আমাদের চারিপাশের সারা বছরের পরিচিত কিছু অসুখ নিয়ে সচেতনতাবোধ এই বই এর মূল বিষয়বস্তু। বইটি প্রকাশিত হয়েছে বিদ্যা প্রকাশনা থেকে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাংলা একাডেমিতে, স্টল নং – ৩২৭, ৩২৮, ৩২৯, ৩৩০।
ফারহানা মোবিন লেখালেখি শুরু করেন চতুর্থ শ্রেণী থেকে। তাঁর লেখালেখির শুরু ছড়া দিয়ে। প্রথম ছড়াটির নাম ছিল “শেয়াল মামা”।
আর ছড়াটি ছাপা হয়েছিল রাজশাহীতে চুইংগাম নামের একটি শিশুতোষ পত্রিকাতে। পঞ্চম শ্রেণী থেকে উনার লেখা ছাপা শুরু হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
তিনি শৈশব থেকেই শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত। নারী ও শিশু উন্নয়ন, সামাজিক সমস্যা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, জীবনযাপন, সাহিত্য বিষয়ক লেখেন নিয়মিত দেশ বিদেশের অগণিত সংবাদপত্র, ম্যাগাজিনে (অনলাইন, হার্ড কপি)।
উনার লেখা স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্য বই গুলোও পাওয়া যাবে বিদ্যা প্রকাশনীতে। বই গুলো হলো –
১) শরীর স্বাস্থ ও পুষ্টি
২) সবার আগে স্বাস্থ্য
৩) আসুন সুস্থ থাকি
২০২০ সালে বিদ্যা প্রকাশনা থেকে সামাজিক সমস্যা ও তার প্রতিকার বিষয়ক বই আমিও “মানুষ” প্রকাশিত হয়েছে।
উনার লেখা ছোটদের বই গুলো সব বয়সের পাঠকের পড়ার উপযোগী। শিশুতোষ তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে ছোটদের বই প্রকাশনা থেকে।
শিশুতোষ বইগুলো হলো –
১) উড়ে যায় মুনিয়া পাখি
২) গোলাপি রং পেন্সিল
৩) ভালো ছেলে
বই মেলা শেষ হলেও সব বই সংগ্রহ করা যাবে রকমারি ডট কম থেকে।তিনি ছোট বড়ো সব বয়সের পাঠকের জন্য খুব সহজ ভাষায় লেখেন।
ফারহানা মোবিনের জন্ম, বেড়ে ওঠা রাজশাহী বিভাগে। এমবিবিএস এর পরে তিনি এমএস করেন পাবলিক হেলথে। বারডেম হাসপাতাল থেকে ডায়াবেটিস এবং হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল থেকে হৃদরোগের উপর সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নগরীর গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল এবং স্কয়ার হসপিটালে।
অসহায় মানুষের ফ্রী চিকিৎসা, সমাজ সচেতনতা মূলক লেখা, টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান এবং বহুবিধ সামাজিক কাজের জন্য তিনি অর্জন করেন,
” বিজেম সম্মাননা এওয়ার্ড ২০১৯”, ” উইবিডি সম্মাননা এওয়ার্ড ২০১৮ “, ” স্বাধীনতা সংসদ আলোকিত নারী সম্মাননা এওয়ার্ড ২০১৯“।