জীবনধারা বাংলাদেশ সেবামূলক কাজ

রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ীতে শেখ হাসিনা

দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার টাঙ্গাইলের বাড়ীতে কাঁসের থালা বাসনে খেতে বসা শেখ হাসিনাকে দেখে শুধু প্রধানমন্ত্রী
মনে হয়নি, মনে হয়েছে নিকটাত্মীয় মমতামীয় মা।
দানবীর রণদা প্রসাদ জন্মেছিলেন সাধারণ দরিদ্র পরিবারে। ধনুষ্টংকারে মাকে হারানোর পর বিমাতার
অত্যাচারে গৃহত্যাগী হতে হয় তাঁকে।
কলকাতা পালিয়ে গিয়ে মুটে তথা কুলীর কাজ করা এই মানুষ কি করেছিলেন জানেন? স্বদেশী আন্দোলন
থেকে সেনাবাহিনীর চাকুরী। তখনকার মেসোপটোমিয়া, ইরাকে গিয়ে মানুষের জান বাঁচানোর জন্য রাজা
পঞ্চম জর্জ ডেকে নিয়ে সম্মানিত করেন তাঁকে। সে সব চাকরী ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন।
কেরানীগিরি করা বাঙালি তখন ব্যবসা জানতো না। ইনি নৌ পরিবহন ও নৌ পরিবহনে বীমার প্রথম সার্থক
বাঙালি ব্যবসায়ী। পরে যখন বিত্তশালী হলেন তখন নামলেন শিক্ষা ও দানের প্রসারে।আজকাল একজন
কাঙালকে ধরে খাইয়ে পাঁচজন ফটো সেশন করেন। ইনি ৪৩ এর আকালের সময় একাই কয়েক’শ লঙর খানা
খুলেছিলেন।
দানবীর মানুষটি মায়ের নামে কুমুদিনী কলেজ প্রপিতামহীর নামে ভারতেশ্বরী হোমস, হাসপাতাল আরো কত
কিছু করেছিলেন। পাকিস্তান হবার পরও সে দান ছিলো অবারিত।দেশ ছেড়ে যাননি।
প্রতিদান অবশ্য ই পেয়েছেন হাতে হাতে। ১৯৭১ পাক বাহিনী ও দালালেরা ধরে নিয়ে গেলে একবার ফিরে
এসেছিলেন। তাও পালান নি। চাইলেই পারতেন।কিন্তু স্বদেশপ্রেম আর দেশের টান যেতে দেয় নি। তাই
এর পরেরবার তিনি ও তাঁর পুত্র কেউ আর জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পারেননি।

Related posts

অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর জীবনাবসান

Irani Biswash

যেসব ভুলে শ্রীলঙ্কা তলানিতে

razzak

তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

razzak

Leave a Comment

Translate »