নিজস্ব সংবাদদাতা: গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে গন্তব্য সিনেমা। শুরু থেকেই সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। গন্তব্য সিনেমা নির্মান করতে গিয়ে পরিচালক পরিচালক অরন্য পলাশ সর্বস্ব হারিয়ে হোটেলে কাজ করেছেন। ঋণ পরিশোধ করতে পৈত্রিক জমি বিক্রি করেছেন এমনকি স্ত্রীর স্বর্নালংকারও বিক্রি করেছেন। সর্বস্ব হারিয়েও সিনেমার কাজ শেষ করতে পারেননি পরিচালক অরন্য পলাশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব করুন খবর ছড়িয়ে পড়লে, অনেকেই এগিয়ে এসে সাহায্যের আ্শ্বাস দিয়েছিলেন।তথ্য মন্ত্রনালয় নিজস্ব ফান্ড থেকে ১ লক্ষ টাকা দেয়। তারপরও কোন কুল কিনারা হয়নি। এমন এক দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ায় কান্ডারী হয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আনোয়ার আজাদ। প্রবাসী বাঙালী আনোয়ার আজাদ দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করেন। বাংলাদেশে সিনেমার যখন দুর্দিন চলছে, অনেকেই লগ্নি ফিরে না পাবার ভয়ে প্রযোজনা বন্ধ করে দেন। ঠিক তখন বাংলা সংস্কৃতি প্রেমী আনোয়ার আজাদ সিদ্ধান্ত নেন সিনেমা প্রযোজনা করবেন।তিনি বলেন, বাংলা সংস্কৃতির প্রধান মুখপাত্র বাংলা সিনেমা। সেই সিনেমার করুন পরিনতি দেখে আমি বসে থাকতে পারিনি। তাই সুদুর প্রবাসে থেকেও চুপ করে বসে না থেকে সিনেমা প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেই।
আমি বাংলাদেশে ছবি প্রযোজনা চালিয়ে যাবো। পুরানো সাদাকালো জনপ্রিয় ছবির রিমেকও করতে চাই। নতুন ভার্সন তৈরি করে সেগুলো মার্কেটে আনতে চাই।
এরই মধ্যে আনোয়ার পারভেজের প্রযোজনায় এসেছে আশরাফ শিশিরের গোপন দ্যা ইনার সাউন্ড, গোলাম মোস্তফা শিমুলের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ অরুন চৌধুরীর ‘মায়াবতী’ সিনেমা। সর্বশেষ তার প্রযোজনা সংস্থা আনোয়ার আজাদ ফিল্মস এর ছবি
‘গন্তব্য’ মুক্তি পেয়েছে গত ১৯ মার্চ।
গন্তব্য সিনেমা নিয়ে তিনি বলেন, মায়াবতী সিনেমা মুক্তির তিন মাস পরেই করোনা মহামারী শুরু হয়। তাই চুড়ান্ত সিনেমার কাজ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হই। অরন্য পলাশ ও এলিনা শাম্মীর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগের সূত্র ধরেই কিছু অর্থ তাদের সিনেমার জন্য দিয়েছিলাম। আর বলেছিলাম, সিনেমা মুক্তির পর সুবিধাজনক সময়ে ধারের টাকা দিয়ে দিবেন, লাভ লাগবে না। কারণ আমি সবসময় নতুন ও তরুন নির্মাতাদের মেধা প্রকাশের সুযোগ দিতে চাই।
আনোয়ার আজাদ আরো বলেন, বাংলাদেশি কানাডিয়ান হিসেবে আমি আমার জন্মভুমির কাছে ঋণী। তাই আমার জন্মভুমির জন্য আমি কিছু করতে চাই। আমি বেড়ে উঠেছি বাংলাদেশ তবে খুবই কম বয়সে দেশ ছেড়েছি। তাই হয়তো দেশের প্রতি ভালবাসা একটু বেশি।