নিজস্ব সংবাদদাতা: শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ ও পরদিন রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতহালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ রাত ৮টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আমি এ কর্মসূচী ঘোষণা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হক বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ দিনে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীবাহিনী যেভাবে প্রতিবাদী মুসল্লিদেও ওপর হামলা করেছে, তাতে স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, সাধারন সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক তারেক সাঈদ জানান, ঢাকার বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই তারা মোদিবিরোধী শ্লোগান দিতে থাকেন। এরপর ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। এরা সবাই জামায়াত, শিবির ও হেফাজতের নেতাকর্মী।
পেছন থেকে বিএনপি তাদের মদদ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেও জরুরি বিভাগে মোদিবিরোধী শ্লোগান দিতে থাকেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টও বাচ্চু মিয়া বলেন, বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষেও ঘটনায় প্রায় ১৩৫ জন আহত হয়ে এখানে এসেছে। তারা সকলেই ইট-পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন।