নিজস্ব সংবাদদাতা: হিন্দু সম্প্রদায়ের নিন্ম বর্ণের মানুষদের পবিত্র তীর্থ ভূমি শ্রী শ্রী ওড়াকান্দি গিয়েছেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৭ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড় সংলগ্ন মাঠের অস্থায়ী হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে।
উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাসর বাজিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বরণ করেন ঠাকুরবাড়ির মতুয়ারা। সেখানে তিনি পূজা-অর্চনা করেন। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মতুয়া ভক্তদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ প্রতিটি ভারতবাসীর সৌভাগ্য যে তারা এখানে বাংলাদেশে শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের যে প্রচেষ্টা, তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। ওড়াকান্দিতে শিক্ষা প্রসারের প্রচেষ্টায় ভারতের জনগণ যুক্ত হবেন। এখানে ভারত সরকার এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও স্থাপণ করবে। এটি ভারতের কোটি মানুষের পক্ষ থেকে হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা এই কাজে আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীর পূণ্যলগ্নে প্রতিবছর বারুরি স্নান পালন করতে অনেক ভারতের ভাইবোন বাংলাদেশে আসে। তীর্থযাত্রা যাতে আরও সহজ হয় সে জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আরও বেশি প্রয়াস নেওয়া হবে।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শিক্ষার প্রসারে ভারত সরকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে এই এলাকার মাধ্যমিক স্কুলের আধুনিকানও করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কেও কথা তুলে ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সবার উন্নয়নের মন্ত্র নিয়ে ভারত এগিয়ে যাবে। ভারতের এই যাত্রায় বাংলাদেশ সহযাত্রী। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের এক শক্তিশালী
উদাহরণ। বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাতেও ভারত আপনাদের সহযাত্রী। এরপর তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
previous post