নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ বর্ষ বিদায় চৈত্র সংক্রান্তি। আজকের সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। জীর্ণ পুরাতন ফেলে মঙ্গলালোকে নতুনকে বরণ করা হবে। গতবারের মতো করোনার ক্ষত নিয়ে, প্রিয়জন হারানোর কষ্ট নিয়ে এবারও হবে বর্ষবরণ।
বাংলা বছরের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্য দিয়ে অন্যরকমভাবে পালন করেন।
বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরা। শুচি-শুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরোনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। পুরোনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে হালখাতা খোলা হয়।
এবার করোনার পরিস্থিতি উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। বুধবার থেকে কার্যত লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। করোনায় প্রাণহানি, সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে উৎসব, অনুষ্ঠান সীমিত বা অনলাইন কেন্দ্রিক করা হচ্ছে। চৈত্র সংক্রান্তিতে এবার আগের বছরগুলোর মতে উৎসব মুখর মেলা হচ্ছে না।
গতবারের মতো এবারও পয়লা বৈশাখসহ সবধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সারা দেশে ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রান্তি উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। থাকবে না উৎসবের আমেজ। গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণ উৎসবের উপর সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লোক সমাগম এড়িয়ে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করবে গোটা বাঙালি জাতি।