নিজস্ব সংবাদদাতা: সত্তর-আশির দশকের ফোক ফ্যান্টাসি আর অ্যাকশন ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা ওয়াসিম আর নেই। নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার বেশি অবনতি ঘটলে ওয়াসিমকে গুলশানের শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দিবাগত রাত ১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসিম বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। মস্তিস্ক, স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদরোগের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া যায়নি তাকে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দেশের বাইরেও নেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকটা সুচিকিৎসা না পেয়েই এমন একজন তারকাকে পৃথিবী ছাড়তে হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
মোহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম নায়ক হিসেবে রূপালি পর্দায় আসেন নায়ক ওয়াসিম। সিনেমাটি ব্যবসাসফল হলে সুপারস্টার হয়ে উঠেন তিনি। এরপর ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ সিনেমা তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়কদের একজন ছিলেন তিনি। অভিনয় জীবনে ১৫২টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো-‘দোস্ত দুশমন’, ‘দ্য রেইন’, ‘বাহাদুর, ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম, ডাকু মনসুর, জিঘাংসা, কে আসল কে নকল, মানসী, দুই রাজকুমার, ইমান, রাতের পর দিন, আসামি হাজির, মিস লোলিতা, রাজ দুলারী, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, লুটেরা, লাল মেম সাহেব, বেদ্বীন, জীবন সাথী, রাজনন্দিনী, রাজমহল, বিনি সুতার মালা, বানজারান।
‘দি রেইন’ সিনেমায় ওয়াসিমের নায়িকা ছিলেন অলিভিয়া। এরপর ‘বাহাদুর’, ‘লুটেরা’, ‘লাল মেম সাহেব’, ‘বেদ্বীন’ সিনেমায় অলিভিয়ার সঙ্গে অভিনয় করেন। ‘রাজ দুলালী’ ছবিতে শাবানার সঙ্গে অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলে। অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে অভিনয় করেছেন- ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘আবেহায়াত’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘পদ্মাবতী’, ‘রসের বাইদানী’সহ বেশকিছু সিনেমায়।