নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিক ও তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় এ পর্যন্ত ৪১ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৩৫৫ টাকা সহায়তা দিয়েছি। প্রতিনিয়ত আবেদন পাচ্ছি এবং সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি বলে জানালেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস এবং মহান মে দিবস-২০২১ উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল নামে ভিন্ন একটি তহবিল গঠন করেছি। গার্মেন্টস কর্মীদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, মাতৃত্বকালীন সহায়তা, তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা এমনকি তাদের বীমার দাবিও এ তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়।
এ তহবিল থেকে ৮৯ কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭২ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের শুরুতেই চিন্তা করেছেন শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কথা। প্রথমেই তিনি শ্রমিক ভাই-বোনদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে রফতানিমুখী শিল্পের মালিকদের প্রণোদনা, ঋণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। তিনি মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণে আমাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে রফতানিমুখী শিল্প গার্মেন্টস এবং চামড়া শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মান ফেডারেলের সহযোগিতায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ১৫’শ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। এ তহবিল হতে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৩১ জন শ্রমিককে তিন মাসের বেতনের জন্য ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া।