নিজস্ব সংবাদদাতা: অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোমে অভিযান পরিচালনা করে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজধানীর ডেমরা ও কদমতলী এলাকায় এসব অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোম সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেবার নামে প্রতারণা করে আসছিল বলে দাবি র্যাবের।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১০ একটি দল। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবীর সোয়েব জানান, রাজধানীর ডেমরা ও কদমতলী এলাকায় অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিং হোম প্রতিষ্ঠা করার অপরাধে ডেমরার মাতুয়াইলের ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা, ডেমরার দি ঢাকা ইসলামিয়া হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা ও ডেমরার মাল্টি কেয়ার নার্সিং হোমকে দুই লাখ টাকা টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অন্যদিকে সরকারি ও বিদেশি ঔষধ খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে গোবিন্দ বর্মন (৫৬) নামে এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০ এর পৃথক দল। অভিযানে বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি ঔষধ জব্দ করা হয়।
র্যাব-১০ এর লালবাগ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিমের নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানার মিটফোর্ড রোডের মঞ্জুর মার্কেটের নিপা ড্রাগস নামক দোকানে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রেজাউল করিম জানান, গ্রেফতার গোবিন্দ বর্মন আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ বিদেশি ঔষধ বিক্রেতার একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার কাছ থেকে ৩৩১৭ পিস আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ বিদেশি ঔষধ এবং ২৭৬ পিস অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য জি প্যাথেডিন ও জি মরফিন জব্দ করা হয়।
উদ্ধার করা বিদেশি ঔষধ ও নেশাজাতীয় জি প্যাথেডিন ও জি মরফিনের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদে গোবিন্দ বর্মন জানায়, বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন কোম্পানির বিদেশি ঔষধ সামগ্রী ও অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য জি প্যাথেডিন ও জি মরফিন সংগ্রহ করে তিনি ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলেন। কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।