নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের পরিকল্পিত বৃহৎ হ্রদ নামে পরিচিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই হ্রদ। গ্রীষ্মকালে পানি শুন্যতার ফলে গভীরতা কমে যাওয়ায় কয়েক লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এবং কয়েটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এশিয়া মহাদেশের পরিকল্পিত বৃহৎ হ্রদ হল কাপ্তাই হ্রদ।এ হ্রদের ওপর নির্ভর করে দেশের মৎস্য ভান্ডার,বিদ্যুৎ ও পর্যটনখাতে বছরে কোটি ,কোটি টাকা সরকার রাজস্ব আয় করে থাকে। 

এছাড়া,পার্বত্যঞ্চলের সকল ধরনের কাঁচামাল যেমন,বাঁশ,গাছ,কলা, লিচু,পেঁপে,আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের ফল এ হ্রদ দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার সরবরাহ করা হয়। জানুয়ারী হতে মে পযন্ত হ্রদের পানির স্তর দিন,দিন কমতে থাকার দরুন তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। হ্রদের সাথে জড়িত কয়েক লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে, পাহাড়ের ময়লা,আবর্জনা,হ্রদের দু’পাশে বসবাস করা লোকদের বিভিন্ন বর্জ্য ফেলার কারনে হ্রদের গভীরতা এবং তার যৌবন দিন,দিন হারাতে বসেছে। কাপ্তাইয়ের বাঁশ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম জানান,এ মৌসুমে হ্রদের পানির গভীরতা কমে যাওয়ার ফলে আমরা বাঁশ আনতে পারিনা। বর্ষা না হওয়া পযন্ত আমদের প্রায় তিন থেকে চার মাস পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

এ চার মাস যাবৎ আমরা এবং বাঁশের সাথে জড়িত লোকজনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপেক্ষা করি কখন মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে হ্রদে পানি পরিপূর্ণ হবে। গাছ ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লোকমান আহমেদ জানান,পানির ওপর নির্ভর করে আমাদের ব্যবসা,আজ পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের ব্যবসার ধ্বস্ নেমেছে বলে উল্লেখ করেন। ইঞ্জিন চালিত বোট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ ইদ্রিছ বলেন, বর্তমানে পানির স্তর দিন,দিন শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ইঞ্জিন চালিত বোট চালানো সম্ভব হয়না। পানি বা বর্ষা মৌসুম না হলে এ কাজে জড়িত লোকদের বেকার হয়ে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। হ্রদের ওপর নির্ভর সাম্পান মাঝি রুবেল বলেন,পানি কমে যাওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া এ হ্রদ দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলার,কয়েটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকারের পক্ষ হতে কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।