নিজস্ব সংবাদদাতা: রফতানি পণ্যকে অধিক গুরুত্ব দিতে প্রতিবছর সম্ভাবনাময় একটি রফতানি পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । সুতরাং শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রফতানি পণ্যকে টার্গেট করে সরকার কাজ করছে। দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শনিবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আইসিএবি আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অব বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট: অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন|
বানিজ্য মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিফোরজে নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেদার পণ্য, প্লাস্টিক, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং— এ চারটি রফতানি পণ্যের সেক্টরকে যোগ্য করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে ভূমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে, নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। এখানে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদান, হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান, ডিজাইনে বৈচিত্র আনা এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটি পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রয়োজন। বাংলাদেশের রফতানি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, করোনার কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এর মাঝেও রফতানি মুখি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে, আমাদের রফতানি থেমে নেই। কোভিড-১৯ পরবর্তীতে বাংলাদেশ আবার রফতানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।