কোভিড ১৯ জাতীয় জীবনধারা ধর্ম ও জীবন বাংলাদেশ ব্রেকিং

ঈদ উৎসবে শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার বার্তা

নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ ঈদ। ঈদ মানেই পরম আনন্দ। আর এই আনন্দ সকলের মাঝে ভাগ করতে নামাজ শেষে কোলকুলি ও করমর্দন করে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ আনন্দের সব কিছুতেই যেন ভাটা পড়েছে।

গত বছরের মতো এবারের ঈদেও থাকবে না আনন্দের আবহ আর খুশির জোয়ার। অদৃশ্য এক ভাইরাসে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। এক কথায় বলতে গেলে, এবারও ঈদ উৎসব আনন্দ-খুশির ডালা সাজিয়ে নয়, এসেছে শঙ্কা-অনিশ্চয়তার বার্তা নিয়ে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর দেশের মুসলমানরা এদিন ঈদ উদযাপন করছেন। অনাবিল আনন্দের আবহ যেখানে বিরাজ করার কথা সেখানে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা ভর করছে সবার মধ্যে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে এবারও আমাদের ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হচ্ছে। আমরা ঈদ উদযাপন করব, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনোভাবেই এই ঈদ উদযাপন যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ হয়ে না উঠে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ/তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী এই গান গেয়ে আমরা স্বাগত জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরকে। আমি বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক।

তিনি বলেন, বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ব এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ নামক এক মরণঘাতী ব্যাধি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভাইরাস একদিকে যেমন অগণিত মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষতিসাধন করছে মানুষের জীবন-জীবিকার। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই ভাইরাস।

‘জনগণের প্রতি অনুরোধ, আপনারা আবেগের বশবর্তী হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবেন না। অনেকের কোনো বাহ্যিক লক্ষণ না থাকায় আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার পাশের ব্যক্তিটিই করোনাভাইরাস বহন করছে। এর ফলে আপনি যেমন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বেন, তেমনি আপনার নিকটাত্মীয় বা পাড়া-প্রতিবেশীকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন, সবার উপরে মানুষের জীবন। বেঁচে থাকলে আসছে বছর আবার আমরা আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারব। এই ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে গত বছরের মতো এ বছরও ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মসজিদে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে।

Related posts

যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের দেশে ফেরত পাঠাতে ইউকের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

razzak

বাংলাদেশিদের পাঁচ হাজার ভিসা দেবে রোমানিয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

razzak

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বিশ্বতারকারা

Irani Biswash

Leave a Comment

Translate »