নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারী বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ রোহিঙ্গারা। অবাধে ঘোরাফেরা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা বা মাস্ক ব্যবহারে রোহিঙ্গাদের রয়েছে চরম অনীহা। যার ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এ কারনে এসব ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প দুই ডব্লিউ। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউন করা হয়েছে ক্যাম্পটি। তাই প্রবেশ দ্বারে বসানো হয়েছে কড়া পাহারা। আর যানবাহন চলাচল বন্ধে দেয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড।
প্রবেশদ্বারে কঠোর অবস্থান হলেও ক্যাম্পের ভেতরের দৃশ্য অন্য রকম। অবাধে ঘুরাফেরা করছেন রোহিঙ্গারা। দোকানপাট খুলে দিচ্ছেন আড্ডা। নেই স্বাস্থ্যবিধি বা মাস্ক ব্যবহার।
তারা বলছেন, আমাদের কাছে খুব গরম লাগে। তাই সহ্য করতে না পারায় মাস্ক ব্যবহার করি না।
লকডাউন নিয়ে ক্যাম্পের মধ্যে নেই কোনো প্রচারণা। তবে ক্যাম্প ইনচার্জের দাবি, রোহিঙ্গাদের সচেতন করা হচ্ছে।
উখিয়া কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্পের ইনচার্জ মিছবাউল আলম বলেন, পরিস্থিতিটা যেন আরও বেশি খারাপ না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। স্থানীয় কমিউনিটির মধ্যে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে আমরা আইসোলেশনের ব্যবস্থা করছি।
লকডাউন কার্যকরে দায়িত্বে থাকা এপিবিএনের কর্মকর্তা জানালেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ক্যাম্পে লকডাউন অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজারের এপিবিএন ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে যে ৫টি ক্যাম্পে লকডাউন, সেটি কার্যকর করে যাচ্ছি। লকডাউন মানতে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিচ্ছি। আমরা মাইকিং করছি, যাতে তারা লকডাউনের বিধি মেনে চলে।
শুক্রবার পর্যন্ত কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৩ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৩ জন রোহিঙ্গা। আর করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৪৭৭ জনের।