নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি বছরে ধানের ফলন ভাল। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১০ থেকে ১২ লাখ টন চাল উৎপাদন বেশি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
দেশে খাদ্যের ভালো উৎপাদন হওয়ার ফলেই করোনাকালেও সংকট হয়নি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে খাদ্যে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ সেটা প্রমাণ হয়েছে। একদিকে গত আউশ আমনে চালের ফলন ভালো হয়নি। অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রয়োজনীয় চাল বিভিন্ন কারণে আমদানি করা সম্ভব হয়নি। তারপরও খাদ্য সংকটে পড়েনি দেশ।
তিনি বলেন, সবাই ধারণা করেছিল করোনা মহামারির কারণে অর্থনৈতিক মন্দা ও স্থবিরতায় বাংলাদেশে চরম খাদ্যসংকট দেখা দেবে; হয়ত দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কিন্তু নিজস্ব উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হয়নি, সংকট হয়নি।
তবে চালের দাম কিছুটা বেশি থাকায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়েছে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত আউশ আমনে বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেশি ছিল। স্বল্প আয়ের, সাধারণ মানুষের কিছুটা কষ্ট হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারি সত্ত্বেও দেশে এমনটা হয়নি যে, দুর্ভিক্ষ চলছে, বাজারে গিয়ে চাল পাওয়া যায়নি। দেশে চালের উৎপাদন ভালো হওয়াতেই খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়নি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বছর আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলাম চালের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। বিজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।