নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনারোধে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড় ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রাম বিশেষ লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: সাকিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: সাকিবুর রহমান জানান, তেলিভিটা গ্রামের মটর গ্যারেজের ব্যবসায়ী বিভাষ কৃত্তনীয়া করোনার উপসর্গ ঠান্ডা ও জ্বর নিয়ে গত রবিবার ২৩ মে মারা যান। এর জের ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিলে তারা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানায়।
পরে ওই গ্রামের ৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। বুধবার এর মধ্যে ২৩ জনের করোনা পজেটিভ আসে। পরে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
এ কারনে বুধবার সকাল থেকে তেলিভিটা গ্রামসহ আশপাশের জনবহুল এলাকা বিশেষ লকডাউনের আওতায় আনা হয়। এছাড়া ওই গ্রামের আরো ৮৭ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যাদের রিপোর্ট আজ সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আসবে।
এদিকে, করোনা আতংক ও সংক্রমণ রোধে সদর উপজেলার সাতপাড়ের সাপ্তাহিক হাট বন্ধ ঘোষনা করে সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজিত মন্ডল।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: সাকিবুর রহমান জানান, তেলিভিটা গ্রামের ব্যবসায়ী বিভাষ কৃত্তনীয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দেয়। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ ওই গ্রামের মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে ব্যাপক হারে করোনা রোগী ধরা পরে। করোনা সংক্রামণ রোধে আমরা তেলিভিটা গ্রাম ও আশপাশের জনবহুল এলাকায় বিশেষ লকডাউন ঘোষনা করি। আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাশেদুল রহমান জানান, লকডাউন চলাকালে সাতপাড় ইউনিয়নের হাট-বাজার এবং বৌলতলী ইউনিয়নের গান্ধিয়াশুর ও পাটকেলবাড়ী বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
এ পার্যন্ত জেলাটিতে ৩ হাজার ৭৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭ জন।