নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী দিনগুলোতে কর্মী সুরক্ষায় সেফগার্ডিং এবং প্রোটেকশান ফ্রম এক্সপ্লোয়েশান অ্যান্ড এবিউজ (পিএসইএ) থেকে সুরক্ষার বিষয়টি অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এই নিয়ে কর্মীদেরকে আরও সচেতন করতে ভবিষ্যতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম জোরালো করা হবে।
বুধবার (৯ জুন) কক্সবাজারের একটি হোটেলে ‘সেইফ গাডিং অ্যান্ড পিএসইএ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন। ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি (এইচসিএমপি) এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
চারদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শেষ হবে আগামী ১৩ জুন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি কর্মসূচির মানব সম্পদ বিভাগের (ট্রেনিং অ্যান্ড সেফগার্ডিং) ম্যানেজার ফারজানা সিদ্দিকা। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন ব্র্যাকের লার্নিং অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট কর্মসূচির খন্দকার শফিকুল আলম এবং নিতু বড়ুয়া। এছাড়া ব্র্যাক এইচসিএমপির পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন শারমিন আক্তার ও সুতোনুকা বড়ুয়া টুপুর।
ব্র্যাক কর্মী, অংশীদার, সুবিধাভোগী, স্বেচ্ছাসেবক, সরবরাহকারী, রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির মানুষের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ব্র্যাকের এইসিএমপি এর আওতাধীন বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, ব্র্যাক শুরু থেকে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের পাশাপাশি ব্র্যাক এখন কর্মীদের সুরক্ষা, সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়নকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এ সম্পর্কে ব্র্যাক এর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক জানান, ‘সেইফগার্ডিং’ এখন এখন শুধু নারীদের বিষয় নয়, বরং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কর্মপরিবেশ ঠিক রাখতে এটি এখন অপরিহার্য বিষয়। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ব্র্যাক ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। এই ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীরা যাতে আরও সচেতন হয় এজন্য ভবিষ্যতে আরও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম গ্রহণ করবে ব্র্যাক।