নিজস্ব সংবাদদাতা: এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নামের বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো বার্ড ফ্লু রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে বলে দাবি করেছে । রোববার (১৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তরফ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে ইতিমধ্যে এ ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০১৭ সাল থেকে ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল গবেষক বার্ড ফ্লু রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে পৃথকীকৃত ভাইরাস দিয়ে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য মারাত্মক এ রোগের ভ্যাকসিনের তৈরি করতে সক্ষম হন তারা। ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে গবেষকদের এ দলে রয়েছেন ড. কোহিনুর পারভীন, ড. মোস্তফা কামাল ও ড. আয়নুল হক’।
ড. মো. আলিমুল ইসলামের মতে এ ভ্যাকসিন দেশে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন। উল্লেখ্য, দেশের বিজ্ঞানীরা এই প্রথম বার্ড ফ্লু রোগের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এতদিন ভারত, চীনসহ কয়েকটি দেশের উৎপাদিত ভ্যাকসিন দিয়ে খামারিরা বার্ড ফ্লু রোগটি প্রতিরোধের চেষ্টা করে আসছিলেন। এতে সময়মতো ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা ছিল, তেমনি দামও ছিল বেশি’।
সংবাদ সম্মেলনে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মখলেছুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সক্ষমতা দেখার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল ঝিনাইদহের কারখানা পরিদর্শন করেন। এরপর আমাদের সক্ষমতা বিবেচনা করে এ ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করেছি’।
চলতি মাসের শেষ নাগাদ প্রায় এক কোটি ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ‘বার্ড ফ্লু রোগ প্রতিরোধে মুরগিকে তিন থেকে চার ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হয়। আগে বিদেশ থেকে আসা ভ্যাকসিনের দাম প্রতি ডোজ খুচরা পর্যায়ে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত পড়তো। এখন আমাদের তৈরি ভ্যাকসিনের দাম সাড়ে ৫ টাকা দরে ক্রেতারা কিনতে পারবেন’।