আন্তর্জাতিক সংবাদ: আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হলেন আল জাজিরার সাংবাদিক ড্রিউ অ্যামব্রোস। ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়াস লকডাউন’ নামে আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনের জন্য লন্ডনের ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসে জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন তিনি।
আল জাজিরার ‘১০১ ইস্ট’ অনুষ্ঠানের সাপ্তাহিক আয়োজনের অংশ হিসেবে নির্মিত ২৫ মিনিটের পর্বটির জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার আরেকটি প্রতিবেদন ছিল পশ্চিম পাপুয়ার বন উজাড় বিষয়ে।
গত বছরের ৩ জুলাই আল জাজিরায় প্রচারিত ওই পর্বে অভিবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার সরকারের ক্র্যাকডাউনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, কর্তৃপক্ষ করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার চলাকালে অভিবাসীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিল।
‘১০১ ইস্ট’ টিমে কাজ করা চার সাংবাদিকের একজন ছিলেন অ্যামব্রোস। ওই প্রতিবেদনের জেরে মালয়েশিয়া সরকার তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছিল। আল জাজিরায় প্রচারিত ওই পর্বে বক্তব্য দেয়ায় বাংলাদেশি মো. রায়হান কবিরকে আটক করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তারও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
লন্ডনের বিচারপতিদের প্যানেল অ্যামব্রোসের প্রতিবেদনের প্রশংসা করেছে। তার কাজটিকে সৎ, নির্ভীক ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বলে বর্ণনা করেছেন বিচারকরা। এমন বিষয় সব সময়ই সংবাদ এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়ে মন্তব্য করে অ্যামব্রোস বলেছেন, পুরস্কারটি পাওয়া সম্মানের। এমন এক বছরে এ সম্মাননা পেলাম যখন মহামারি বিশ্বব্যাপী সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মারাত্মক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে একটি টেলি অ্যাওয়ার্ড এবং হংকং সংবাদদাতা ক্লাবের একটি মানবাধিকার প্রেস পুরস্কার জিতেছে। গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক পর্বটিকে ২০২০ সালের রিপোর্টিংয়ের অন্যতম সেরা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। পর্বটিকে ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়ার করোনাভাইরাস রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের জন্যও তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
১০১ ইস্ট নামে ২০০৭ সাল থেকে এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়ে কুয়ালালামপুরের এশিয়া সদর দফতর থেকে সাপ্তাহিক ২৫ মিনিটের অনুষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে।