নিজস্ব সংবাদদাতা: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বিমানের টিকিটে লেবার ফেয়ার দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ। শনিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে— জনশক্তি প্রেরণ খাতকে শিল্প ঘোষণা করে মালিকদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা, স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে বৈধভাবে কর্মী প্রেরণ করা সত্ত্বেও মানব পাচার আইনে মালিকদের হয়রানি বন্ধ করা এবং রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বাংলাদেশ ও ফরেন দূতাবাসে তালিকাভুক্ত করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সৌদিসহ আরব দেশগুলোর এয়ার টিকিটের মূল্য বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স অযৌক্তিকভাবে তিন-চার গুণ বাড়িয়েছে। দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি এয়ারলাইন্স দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮/২২ হাজার টাকায় আরব দেশগুলোর এয়ার টিকেট মূল্য হলেও বাংলাদেশ থেকে একই গন্তব্যে এয়ার টিকিটের মূল্য ৭০/৯০ হাজার টাকা। অন্যদিকে ১৯৭৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি নারী-পুরুষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। এক কোটির বেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অবদান অসামান্য। বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে জনশক্তি প্রেরণ খাত তথা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শত শত কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারের যথাযথ বিধিবিধান প্রতিপালনসহ বিএমইটির দেওয়া স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কর্মসংস্থান করে থাকে। পাসপোর্ট, ট্রেনিং সেন্টার, ভিসা সত্যায়নে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস, মন্ত্রণালয়/বিএমইটির যাচাই-বাছাই অনুমোদনসহ একজন কর্মীকে প্রেরণে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও অমানবিকভাবে শুধুমাত্র রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর শত শত মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মানব পাচার আইনের জামিন অযোগ্য ধারায় জেল জুলুম হয়রানির স্বীকার হতে হয়। আমরা এই হয়রানি চিরতরে বন্ধ চাই। স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে কর্মী প্রেরণ করলে সেটি মানব পাচার আইনের আওতামুক্ত ঘোষণাসহ জাতীয় সংসদের মাধ্যমে মানব পাচার আইন-২০১২ আইনটি সংশোধন চাই। এছাড়া রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে বাংলাদেশ ও ফরেন দূতাবাসে তালিকাভুক্ত করতে হবে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, মহাসচিব আরিফুর রহমান প্রমুখ।