নিজস্ব সংবাদদাতা: সাত দিনের বিধিনিষেধে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও দফতর সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। সীমিত জনবল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় এরই মধ্যে কর্মকর্তারা আলাদা ডিউটি শিডিউল করে নিয়েছেন। কর্মীদের অফিসে আনা নেওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ খোলা থাকবে।
বিধিনিষেধে সীমিত জনবল নিয়ে পরিচালিত হবে তথ্য অধিদফতরের সংবাদ কক্ষ। এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেন, তথ্য অধিদফতরের কাজ এমন যে, সব সময়ই খোলা রাখতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতে আমরাও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত জনবল নিয়ে কাজ করব। শুধুমাত্র নিউজরুম খোলা থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালে ডিউটির জন্য নতুন সময়সূচী করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী অফিসের কাজ চলবে। তিনি জানান, কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এছাড়া খোলা থাকবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সবসময়ই খোলা থাকে। তবে এখন একদিকে বিধিনিষেধ, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে। সেজন্য আরও কর্মকর্তা এই বিভাগে যুক্ত করে দায়িত্ব পালনের নতুন সূচী তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম এ বিষয়ে সারাবাংলাকে জানান, বর্ষা মৌসুম চলমান। আবার বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। সে কারণে কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকবে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি শাখা, বিদ্যুৎ বিভাগের শাখা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা থাকবে বলে জানা গেছে। আরও সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে যে সকল শাখা খোলা থাকবে সেখানে স্বশরীরে উপস্থিতির হার একেবারেই কম থাকবে। কর্মকর্তারা জরুরি প্রয়োজনেই কেবল অফিসে আসবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই বিধিনিষেধ চলাকালে কোনো দর্শনার্থী সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। যদি বিশেষ কোনো ব্রিফিং থাকে সেটা কভারেজের জন্য অনুমতি সাপেক্ষে গণমাধ্যমকর্মীরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এই সাত দিন সচিবালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমও চলবে নতুন ডিউটি শিডিউলে। সেখানেও জনবল কম থাকবে।