কানাডা সংবাদদাতা: কানাডার পশ্চিমাঞ্চল এবং যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাপদাহ। শতাব্দীর রেকর্ড ভাঙ্গা অভূতপূর্ব তাপদাহে পুড়ছে কানাডা। এ তাপদাহের কবলে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। ইতিমধ্যে দুই অঞ্চলের মানুষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে হিটস্ট্রোকে অনেক মানুষের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। খবর এএফপি’র।
দাবানলে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৯ জনে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে ৪৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিশেষ করে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পরিস্থিতি নাজুক। সেখানকার প্রধান লিসা লাপয়েন্তে শুক্রবার দেশটির বাসিন্দাদের বলেন, ‘অনুগ্রহ করে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী এবং বিশেষ করে যারা একা থাকেন তাদের খোঁজ নিন’।
তাপদাহের মধ্যেই যুক্ত হয়েছে দাবানল। এতে ঝুঁকিতে পড়েছেন বহু মানুষ। কলম্বিয়ার ফায়ার সার্ভিস একাধিক দাবানলের কথা জানিয়েছে। এরই মধ্যে পুড়ে গেছে অনেক জায়গায়।
সেখানকার দমকল বাহিনীর মুখপাত্র এরিক বার্গ জানিয়েছেন, দাবানল নতুন নতুন জায়গায় দেখা দিচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
‘হিট ডোম’ এর প্রভাবে কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বায়ুমণ্ডলে সাগরের উষ্ণ বায়ু আটকে পড়লে যে উচ্চচাপ তৈরি হয় তাকে হিট ডোম বলা হয়। মারাত্মক এই তাপদাহের কারণে সেখানকার শত শত মানুষের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। সূত্র : বিবিসি