মালয়েশিয়া সংবাদদাতা: মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের পৃথক অভিযানে বাংলাদেশীসহ ৯৫ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সকালে অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযামি দাউদ বলেন, কুয়ালালামপুরের পুডু এলাকার একটি ভবন ও ইপোহ গুনং রাপাত এলাকার পৃথক দু’টি ভবনে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ইপোহ গুনং রাপাত একটি ভবনে পতিতাবৃত্তি পরিচালনা করার অভিযোগে ২৩ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে বাংলাদেশী দু’জন পুরুষ খদ্দের, ১৬ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী যৌনকর্মী, চারজন ভিয়েতনামের যৌনকর্মী, একজন মিয়ানমারের পুরুষ খদ্দের রয়েছে। এদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
এ সময় ভিয়েতনামের দু’জন যৌনকর্মী ভবন থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তারা গুরুতর আতহ হন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশ ভবনটিকে ঘিরে ফেলার পর অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিক-বেদিক ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে পুডু ভবনে আরেক অভিযানে ২৪৫ জন অভিবাসীকে চেক করে ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৯ জন মহিলা রয়েছে। তবে এই অভিযানে গ্রেফতার ৭২ জনের মধ্যে কতজন বাংলাদেশী বা কোন কোন দেশের নাগরিক রয়েছে তা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি এবং খায়রুল দাযামি আরো বলেন এসব জায়গায় বিদেশী অভিবাসীদের নিয়ে ঘণ্টা ২৫০ রিংগিত হিসেবে পতিতাবৃত্তি পরিচালনা করা হতো। ইপোহ গুনং রাপাত ভবনে অভিযানের সময় কনডম, জেল, ম্যাসেজ ক্রিম উদ্ধারসহ আটককৃতদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদেরসহ এবং যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সকল আটককৃতদের ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/ধারা ৩ এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯ /৩-এর অধীনে ভিসার শর্ত লঙ্ঘন ও কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনে দায়ে বিভিন্নঅপরাধের তদন্ত করে অভিযোগ গঠন করা হবে। তারপর করোনা টেস্ট করে কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হবে।