আন্তর্জাতিক জীবনধারা ধর্ম ও জীবন ব্রেকিং

শুরু হলো পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

আন্তর্জাতিক সংবাদ : আজ রবিবার থেকে  পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে । আজ ফজরের নামাজের পর হজযাত্রীরা ইহরাম বেঁধেছেন। সে অবস্থায় তালবিয়া পাঠ করতে করতে ইসলামের পবিত্র স্থান মিনার তাঁবুতে গিয়ে অবস্থান করবেন। সেখানে আজ তারা নানা রকম ইবাদত বন্দেগি করবেন। আগামীকাল সোমবার ভোর থেকে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে গিয়ে সমবেত হবেন। এ দিনটিকে বলা হয় আরাফাত দিবস। মুসলিমরা এদিনকে মূল হজ বলে থাকেন। এই আরাফাতের ময়দানে দাঁড়িয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।

ঘোষণা দিয়েছিলেন ইসলামের পূর্ণতা। সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে হজযাত্রীরা আজ একসুরে উচ্চারণ করবেন-  ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিয়ামাতা, লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাকা।’ অর্থাৎ- হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।

গত বছরের মতো এবারও সীমিত পরিসরে পালিত হচ্ছে হজ। এবার শুধু সৌদি আরবের নাগরিক এবং সেখানে বসবাস করেন এমন মুসলিমদের হজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাও তাদের সংখ্যা ৬০ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। যেসব মুসলিম পবিত্র মক্কা নগরীতে পৌঁছার আগে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইজার, এস্ট্রাজেনেকা, মডার্না অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়েছেন- শুধু তাদেরকেই হজ করতে দেয়া হচ্ছে। ফলে এবারও সৌদি আরবের বাইরের কোনো দেশের হজযাত্রীকে হজ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে গত বছর যেমন সৌদি আরব হজ পালন করতে সক্ষম হয়েছে, এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইছে। এরই মধ্যে হজযাত্রীদের দেয়া হয়েছে স্মার্ট কার্ড। তাদের সেবায় নেয়া হয়েছে সব ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

তা সত্ত্বেও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য মুসলিমদের মধ্যে হজ করতে না পারার এক মনোবেদনা রয়েই যাচ্ছে। হজ করার বাসনা অপূর্ণ রেখেই অনেক মানুষ চিরবিদায় নিচ্ছেন। করোনার এই কঠিন সময়ে হজযাত্রীরা আল্লাহর কাছে সব রকম বিপদ থেকে মুক্তি, মুসলিম জাহানের শান্তির জন্য প্রার্থনা করবেন মহান আল্লাহর দরবারে। তারা আগামীকাল মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে দু’টুকরো সাদা কাপড়ে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানের দূরত্ব ৭ বা ৮ কিলোমিটার। দিনভর ইবাদতে সময় কাটাবেন সেখানে। যোহর ও আছরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন ঐতিহাসিক নামিরা মসজিদে। সেখানে নামাজের আগে খুৎবা দেবেন গ্রান্ড মুফতি। এরপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজযাত্রীরা আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করে কান্নাকাটি করে সময় কাটাবেন। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ময়দান ত্যাগ শুরু করবেন। আরাফাতের ময়দান থেকে ফেরার পথে মুজদালিফায় রাত যাপন করে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ১০ জিলহজ মঙ্গলবার সকালে আবার মিনার তাঁবুতে ফিরবেন। সেখান থেকে গিয়েই জামারাহ’তে শয়তানের প্রতি প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন। পশু কোরবানি করবেন এবং তাওয়াফে জিয়ারাহ, সাফা মারওয়া সাঈ করে আবার মিনার তাঁবুতে ফিরে আসবেন। পরের দুই দিনও একইভাবে মিনার তাঁবু থেকে গিয়ে জামারায় পাথর নিক্ষেপ করবেন। ১২ অথবা ১৩ জিলহজ পাথর নিক্ষেপ শেষ করে হাজীরা মিনার তাঁবু ত্যাগ করে হজের কর্তব্যের সমাপ্তি ঘটাবেন। এরপর মক্কা ত্যাগ করার আগে বিদায়ী তওয়াফ করে যে যার অবস্থানে চলে যাবেন।

Related posts

একদিনে শনাক্ত সাড়ে ৬ লাখ, মৃত্যু আড়াই হাজারের নিচে

razzak

দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত জরুরি : জুনাইদ আহমেদ পলক

Mims 24 : Powered by information

নরওয়েতে ফাইজারের টিকা নেয়ার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, পরামর্শ চেয়েছে অস্ট্রেলিয়া

Mims 24 : Powered by information

Leave a Comment

Translate »