বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মঞ্চে সারা বিশ্বের আগ্রহ ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচটি ঘিরে। কিছুদিন আগেই ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তাই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ তুঙ্গে পৌঁছেছিল। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ব্রাজিলের বেরসিক স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা আনভিসার এজেন্টরা মাঠে ঢুকে খেলা ভণ্ডুল করে দেয়! হতবাক হয়ে যায় দুই দলের খেলোয়াড়েরা। আনভিসারের দাবি, আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার কোভিড প্রটোকল ভঙ্গ করেছেন।
আর্জন্টিনার কোচসহ সমর্থকেরা বলছেন, গত তিনদিন ধরে আর্জন্টিনার খেলোয়াড়েরা ব্রাজিলে অবস্থান করলেও কেউ কিছু বলেনি। ম্যাচ শুরুর পর তা ভণ্ডুল করা কোন ধরনের আচরণ! গতকালই স্থানীয় সময় মধ্যরাতে দেশে ফিরে গেছে আর্জেন্টিনা দল। বিষয়টি নিয়ে গোটা ফুটবলবিশ্বেই তুলকালাম চলছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছে ব্রাজিলের মিডিয়া?যেমন ব্রাজিলের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল ‘ইউওএল’-এ কলামিস্ট ডিয়েগো গার্সিয়া লিখেছেন, ‘এই মহামারিতে ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারির জন্ম দিল আর্জেন্টিনার মিথ্যুকরা।’
আরেকটি শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ‘ফোলহা’ লিখেছে, ‘আনভিসা মাঠে ঢুকে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের আটক করতে চেয়েছিল।’ সংবাদমাধ্যমটির দাবি, প্রিমিয়ার লিগে খেলা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় ইংল্যান্ড থেকে ব্রাজিলে আসায় কোয়ারেন্টিন এড়াতে ‘ভুয়া’ হলফনামা জমা দেন। ‘ল্যান্স’ শিরোনাম করেছে- ‘বৈশ্বিক লজ্জা: ম্যাচ স্থগিত করেছে কনমেবল, চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় স্বাস্থ্যনীতি লঙ্ঘন করেছেন।’
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর ছেলে ফ্লাভিও বলসোনারোও টুইটারে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টাইনরা ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়েছে। জেনেশুনেই ব্রাজিলের আইন ভেঙেছে, আনভিসাকে কিছু টের পেতে দেয়নি। ইংল্যান্ড থেকে তারা চার খেলোয়াড়কে এনেছে। ম্যাচের আগে পুলিশকে তাই তদন্ত করতে হয়েছে, কারা নিয়ম মানেনি। আর্জেন্টিনার চরম শাস্তি হওয়া উচিত।’ ব্রাজিলের আরেক সংবাদমাধ্যম গ্লোবো শিরোনাম করেছে ‘বৈশ্বিক লজ্জা’। তবে গত তিনদিন কেন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি- সে প্রশ্নও তারা তুলেছে।