খেলাধুলা জীবনধারা নারী

আঙুলের চিকিৎসা করাতে এসে প্রাণ গেল স্বর্ণজয়ী প্রিয়াংকার

হাতের একটি আঙুলের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জাতীয় দলের জুডো খেলোয়াড় ও আনসার বাহিনীর সদস্য প্রিয়াংকা আক্তারের (১৯) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় প্রিয়াংকা। ভুল চিকিৎসার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে প্রিয়াংকার পরিবার।

প্রিয়াংকার স্বামী শরীফ হোসেন জানান, তিন-চার বছর আগে খেলতে গিয়ে হাতের একটি আঙুল ভেঙে যায় প্রিয়াংকার। টাকার অভাবে এতদিন অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্বনামধন্য চিকিৎসক আর আর কৈরিকে দেখালে তিনি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেন।

বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রিয়াংকাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসক জানায় রোগীর অবস্থা ভালো নয়, আইসিইউতে নিতে হবে। আইসিইউতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর ডাক্তার জানায় প্রিয়াংকা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) মারা গেছেন।

শরীফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আঙুলের অপারেশন করতে গিয়ে হার্ট এটাকে কেন মারা যাবে? আমি এর ন্যয়বিচার চাই।’

কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র পাল বলেন, ‘সন্ধ্যা বেলায় জানতে পারি গ্রিন লাইফ হাসপাতালে একজন নারী ক্রীড়াবিদ মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে রোগীকে বাঁচানোর। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

এ বিষয়ে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) ডা. আবদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

তবে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের অ্যাডমিন অফিসার মো. সোহরাব আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রিয়াংকার মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবার, জুডো কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসক অধ্যাপক আর আর কৈরী ও অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান কথা বলেছেন তারা। তিনি আরও বলেন, ভুল চিকিৎসা বা কর্তব্যে অবহেলার কোনো বিষয়ই এখানে ছিল না।

এদিকে, প্রিয়াংকার আকস্মিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। তার সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপির সতীর্থরা সবাই শোকে মুহ্যমান। তাদের ভাষ্যমতে, প্রিয়াংকা খুবই মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। সব সময় হাসি মুখে সবার সঙ্গে কথা বলতেন। ভালো মানের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে তার অনেক পদক রয়েছে।

Related posts

বিদায় নক্ষত্র পরিচালক ও সাহিত্যিক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

Irani Biswash

এটি পদ্মা সেতু মনে করে ভুল করবেন না

razzak

মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে মারিউপোল

razzak

Leave a Comment

Translate »