খেলাধুলা জীবনধারা বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টিতে ‘পুরোটাই’ লস প্রজেক্ট বিসিবির

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কমপক্ষে সাড়ে চার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। আসর থেকে বাংলাদেশের ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় করার সুযোগ থাকলেও মাহমুদউল্লাহরা আয় করেছেন মাত্র ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

সুপার টুয়েলভে খেলা দলগুলোর মধ্যে আয়ের দিক থেকে সবার নিচে বাংলাদেশ। এমনকি নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডও বেশি আয় করেছে বাংলাদেশের চেয়ে।

রক্ত-মাংস শুকিয়ে কঙ্কাল বেরিয়ে পড়া বাংলাদেশের ক্রিকেট, বিশ্বকাপে গিয়ে যে শুধু ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করে এসেছে তা নয়। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের ব্যর্থতায় বড় অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগও হারিয়েছে এসেছে। অথচ বিশ্ব ক্রিকেটে দুধের শিশু হয়েও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি আয় করেছে নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড।

বিশ্বকাপের জন্য পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে চমৎকার একটি আর্থিক কাঠামো ঘোষণা করেছিল বিসিবি। যার সুযোগ নিতে পারলে অন্তত ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা অ্যাকাউন্টে আনতে পারত বোর্ড। অথচ সেখানে এসেছে মাত্র ১ কোটি ৩৩ লাখ!

রাউন্ড ওয়ানের প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য আইসিসির পুরস্কার ৪০ হাজার ডলার। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যার প্রথমটিই বাগাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। অথচ প্রত্যাশা ছিল এই পর্বে তিন ম্যাচ জিতে পুরো এক লাখ ২০ হাজার ডলার সংগ্রহ করবে বিসিবি। সেই হিসেবে এখানে বোর্ডের লস ৪০ হাজার ডলার।

সুপার টুয়েলভের প্রতিটি ম্যাচ জিতলেও সমান অঙ্কের অর্থযোগের ঘোষণা ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। সেই হিসেবে এই পর্বে পাঁচ ম্যাচ থেকে দুই লাখ ডলার আয়ের সুযোগ ছিল সবার। যেখানে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল তিন ম্যাচ। যদিও শেষ পর্যন্ত ডমিঙ্গোর দল ফিরেছে শূন্যহাতে।

দ্বিতীয় পর্বে কোনো ম্যাচ না জিতেও ৭০ হাজার ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। এটা আইসিসির সান্ত্বনা পুরস্কার। অর্থাৎ এই পর্ব থেকে যারাই বাদ পড়ুক না কেন পাবে সমপরিমাণ অর্থ। আর যদি সাকিবরা লক্ষ্য পূরণ অর্থাৎ তিন ম্যাচ জিততে পারত তাহলে পেত ১ লাখ ২০ হাজার ডলার। যার পুরোটাই এখন গচ্ছা।

বাংলাদেশ যদি সেমিফাইনাল খেলতে তাহলে পেত ৪ লাখ ডলার। সে ক্ষেত্রে সুপার টুয়েলভে বিদায় নেওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকা ৭০ হাজার ডলার আর পেত না বিসিবি। তবে প্রথম ম্যাচ থেকে যদি কক্ষপথে থাকত দল তাহলে এই আয়ের পরিমাণ হতো ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

বিশ্বকাপ শেষে ক্রিকেট বোর্ডের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অথচ বাংলাদেশের পক্ষে পুরো টাকা উপার্জন করা অসম্ভব ছিল না। ক্রিকেটারদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর অহেতুক চাপাবাজিতেই হারিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

প্রথম পর্বে তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে স্কটল্যান্ডের আয় ১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সঙ্গে সুপার টুয়েলভের শান্ত্বনা পুরষ্কার ৭০ হাজার ডলার মিলে টোটাল অঙ্কটা তাদের ১ লাখ ৯০। প্রথম পর্বে দুটি আর পরের পর্বে একটি মিলিয়ে তিন জয় পাওয়া নামিবিয়ার আয়ও সমান!

Related posts

রংপুর-ফেনীর এসপিসহ ৭ কর্মকর্তা বদলি

razzak

আব্রুয়ান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ

Irani Biswash

ইন্টারনেটের আওতায় আসছে ৬১৭ দুর্গম ইউনিয়ন

razzak

Leave a Comment

Translate »