উত্তরা থেকে মতিঝিল পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠেন নুশরাত ও তার বাবা। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বসে থেকেও সিএনজি একটুও সামনে এগুয়নি। নুশরাত বলেন, পরে আমরা অনেক দূর হেটে এসে বাইকে উঠে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছি। ভাগ্গিস! বাসা থেকে অনেক আগেই বের হয়েছিলাম। তা না হলে তো পরীক্ষাটাই মিস হয়ে যেত। এসময় বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে গেছে। এরকম যানজট আগে কখনও দেখিনি।
এক দিকে টঙ্গীতে সেতুর স্ল্যাব ভেঙে ঢাকায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে দিনভর ছিলো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে রাজধানীর পথচারী, অফিসগামী ও পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে আরো কয়েক গুণ।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিন রোববার গাজীপুরের টঙ্গী ও আশপাশের এলাকার পরীক্ষার্থীদের তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয়েছে। যানজটের কারণে কেউ কেউ নির্ধারিত সময়ের পর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছায়। অনেকেই যানজট এড়াতে হেঁটে রওনা হলেও সেখানেও ভোগান্তি বাড়িয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। একই অবস্থায় পড়েছে অফিসগামী ও পথরীরাও।
টঙ্গীতে স্ল্যাব ভেঙে সেতু বন্ধ হওয়ায় গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং ঢাকা-গাজীপুর সড়কে কয়েক দিন ধরে যানজট লেগেই আছে। সেই যানজট টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর পাড় হয়ে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত এসে ঠেকেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শুক্রবার আর শনিবারের তুলনায় রবিবার সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি ছিল। তার ওপর ছিল বৃষ্টি। এতে যানজট পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়। সকালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অফিসগামী যাত্রীরা একই সঙ্গে বের হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সবাইকে।