বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সঠিকভাবেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সংসদে এসব কথা জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন রয়েছে দেশে। তাই দেশে যথেচ্ছ করতে দেওয়া যায় না। সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামির নিষ্পত্তি হওয়া আবেদনকে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ নেই, আইন মোতাবেক চলব। যত খুশি আমাকে তারা (বিএনপির সংসদ সদস্যরা) গালি দিক।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার এ অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী জানান, উনারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) যখন আবেদন করেছেন, তখন সেটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ৪০১ ধারা মোতাবেক, এটি (বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ) আর নতুন করে গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আইন সবার জন্য সমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে উনি (বেগম খালেদা জিয়া) বাড়তি কিছু সুবিধা পাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকে সঠিক হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ছয় দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তির পর রোববার (১৪ নভেম্বর) রাত থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেন।