স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ১২ হাজার ৫৯২টি ওষুধের দোকান শনাক্ত করা হয়েছে, যেগুলোর ড্রাগ লাইসেন্স নেই।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত ও লাইসেন্স দেওয়া চলমান প্রক্রিয়া। ৫৫ জেলা কার্যালয় ও আট বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সারা দেশে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত দোকান পরিদর্শন করেন। এক্ষেত্রে লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত হলে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। লাইসেন্সবিহীন দোকান মালিকদের নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া পূরণ করে ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, মাদকসেবীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে পৃথক ইউনিট চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সব উপজেলায় হবে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স:
দেশের সব উপজেলায় সরকার সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। মামুনুর রশিদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। কেএম খালিদ জানান, দেশের সব উপজেলায় গণগ্রন্থাগার ও শিল্পকলা একাডেমির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এ প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
হাজী মো. সেলিমের এ সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ৬৪ জেলার ৯৩৬ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘সাংস্কৃতিক চর্চা’ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব বিদ্যালয়ে তা চালু করা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য বেসরকারি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের আবেদনের অনুদান দেওয়া চলমান আছে।