এই মাত্র প্রবাস কথা ব্রেকিং

ল্যাতিন আমেরিকায় প্রথমবার বৃহৎ পরিসরে সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত

বিশ্বশান্তি রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার অঙ্গীকারে ল্যাতিন আমেরিকার মাটিতে প্রথমবার ব্রাজিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস গত শুক্রবার বৃহৎ পরিসরে ৫০তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপন করে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ দূতাবাস সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু ব্রাজিলসহ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ায় ঘরোয়াভাবে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালিত হয়।

এ বছর ব্রাজিলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হওয়ায় ব্রাসিলিয়ার ক্লাব নাভাল-এ ৫০তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়।

বর্ণিল এ অনুষ্ঠানে ব্রাজিলে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিকবৃন্দ, ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের সামরিক/প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এবং ব্রাজিলের সশস্ত্রবাহিনী তথা তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সেনা, নৌ ও বিমান কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। ব্রাজিলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্রাসিলিয়াস্থ থিঙ্কট্যাংক-এর সদস্য এবং ব্রাজিলীয় সংবাদমাধ্যমের সদস্য।

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর থেকে পাওয়া সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে নির্মিত বিশেষ প্রামান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর সৈয়দ মিসবাহউদ্দিন আহমদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের ইতিহাস, তাৎপর্য, সশস্ত্রবাহিনীর উন্নয়ন এবং সাফল্যসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নতুন করে সশস্ত্রবাহিনী পুনর্গঠন ও উন্মেষ এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সশস্ত্রবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উত্তরোত্তর সাফল্যের দিকগুলো তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের সামনে বাংলাদেশ সরকারের চলমান সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তথা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির হালনাগাদও উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সাফল্যগাথা তুলে ধরে – প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় অবিচল থেকে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারকে প্রতিধ্বনিত করেন।

অনুষ্ঠানের শেষদিকে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এর আগে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে শিশু-কিশোরদের পাশে নিয়ে কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা।

Related posts

৬০ ঊর্ধ্ব সবাইকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

razzak

সাইবার আক্রমণের হুমকির মুখে কানাডার কুইবেক প্রভিন্সিয়াল সরকার

razzak

রিমোট কন্ট্রোলড অস্ত্র দিয়ে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ

razzak

Leave a Comment

Translate »