শেষ মুহূর্তের দুই গোল ভিয়ারিয়ালকে হারিয়েছে জাভি হেরনান্দেজের দল। এতে বার্সেলোনা ১৪ ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে। সমান ম্যাচে ভিয়ারিয়াল চতুর্থ হারে আগের ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে অবস্থান করছে।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচের ৮ মিনিটে মেমফিস দিপাইয়ের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
পরের মিনিটে গাভির শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। অবশ্য ১৯ মিনিটে ডি ইয়ংয়ের পাসে মেমফিস দিপাই বক্সের ভিতরে ঢুকে গোলকিপারকে একা পেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।
এরপর গুছিয়ে উঠে ভিয়ারিয়ালও সুযোগ খুঁজতে থাকে। ২৫ মিনিটে ট্রাইগুইয়েরসের শট এক ডিফেন্ডার প্রতিহত করেন। দুই মিনিট পর ইয়েরিমি পিনোর হেড বাইরে দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি। ৩৮ মিনিটে বক্সে ঢুকে আরনট দানজুমার বাঁ পায়ের জোরালো শট গোলকিপার তের স্টেগেনের শরীরে লাগলে গোল বঞ্চিত থাকতে হয়েছে।
বিরতির পর গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ প্রান্ত থেকে জর্দি আলবার ভলিতে মেমফিসের প্লেসিং গোলকিপারের শরীরে লেগে অন্য প্রান্তে ডি ইয়ং পেয়ে যান। এই ডাচ মিডফিল্ডার ফাঁকায় থেকে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়াতে সময় নেননি। যদিও ভিএআর দেখে গোলের বাঁশি বাজাতে হয়েছে।
এদিকে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে গোলে করে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল। আরনট ডানজুমার ভলি পাস থেকে স্যামু চুকুয়েজে গোলকিপারের পাশ দিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
শেষ দিকে এসে বার্সেলোনা আবার জ্বলে ওঠে। ৮৮ মিনিটে মেমফিস দিপাই গোলকিপারকে কাটিয়ে এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে কোনাকোনি নিখুঁত শটে জাল কাঁপান।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে বার্সেলোনা তৃতীয় গোল পায়। স্পট কিক থেকে কৌতিনহো দেখে শুনে গোলকিপার রুলিকে হারিয়ে দেন।