রাস্তাঘাট আটকে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শুধু শিক্ষার্থী না, আমরা সবাই নিরাপদ সড়ক চাই, আমাদেরও সমর্থন আছে। কিন্তু তাই বলে রাস্তাঘাট আটকে আন্দোলন করা, সেটা কতটুকু যৌক্তিক? অন্য মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে আন্দোলন করা কতটুকু যৌক্তিক, সে প্রশ্নও থেকে যায়।
রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিরাপদ সড়ক ও বাসে অর্ধেক ভাড়া কার্যকরের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে ৩০-৩৫ বছর বয়সী মায়েরাও ঢুকে গেছেন। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী স্কুল ড্রেস পরে আন্দোলন করছেন। আর গতকালকে আমি টেলিভিশনে কয়েকটি মুখ দেখলাম, তাদের দেখে মনে হয় না তারা স্কুল শিক্ষার্থী। এখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনীতিবিদরা ঢুকে গেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও সেখানে ঢুকে গেছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের যাতে কেউ রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করছে, তাতে আমরা সহানুভূতিশীল। এরই মধ্যে বাস মালিক সমিতি হাফ ভাড়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছে।