ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। এরপরে বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা ছিল। আর এ বৃষ্টির ভাব যেতে না যেতেই জেঁকে বসতে পারে শীত, হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার দেশের অধিকাংশ এলাকায় আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত। ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রাও কমতে পারে। ১২ ডিসেম্বরের পর শীতের আবহ বিরাজ করবে। উত্তরের হাওয়ায় তাপমাত্রা আরও কমবে।
ওই সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দেন এ আবহাওয়াবিদ।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
তাপমাত্রার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় টেকনাফে ৩১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কুমিল্লায় ৫১ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি বা দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে লঘুচাপে পরিণত হয়। ঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর আকাশও পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা।