বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে ১৩৫ বছরের পুরোনো ব্রিটেনের সবচেয়ে আইকোনিক স্থাপনা টাওয়ার ব্রিজ বাংলাদেশের পতাকার সাজে সেজেছিলো। এ উদ্যোগ নিয়েছেন সিটি অব লন্ডনের ব্রিটিশ বাংলাদেশি কাউন্সিলার চলচ্চিত্র নির্মাতা মনসুর আলী।
২৪৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪২ মিটার উচ্চতার এই ব্রিজ ১৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে বাংলাদেশের পতাকার রঙ লাল সবুজে আলোকিত হয়ে উঠে। এসময় ব্রিটিশ বাংলাদেশী শিল্পী রুবাইয়াৎ গেয়ে উঠেন বাংলা গান।
অসাধারণ এই উদ্যোগের উদ্যোক্তা ব্রিটিশ বাংলাদেশী কাউন্সিলার মনসুর আলী বলেন, শেকড়ে টান থেকেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই আইকোনিক স্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে লাল সবুজের মধ্য দিয়ে।
প্রতিদিন টাওয়ার ব্রিজ ভ্রমণ ও ব্যবহার করে থাকেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। অসাধারণ এই মূহূর্তের স্বাক্ষী ছিলেন বেশ কয়েকজন ভীনদেশী। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সিটি অব কাউন্সিলের সাবেক লর্ড মেয়র স্যার ডেভিড ওটন, সিটি অব লন্ডনের চীফ কমনার ব্রায়ান মুনি।
উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল মানুষেরা। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার আহবাব হোসেন বলেন, এই উদ্যোগ আমাদের ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের অর্জন।
চ্যানেল এস টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা মাহী ফেরদৌস জলীল বলেন, এই লাল সবুজ আমাদের লক্ষ লক্ষ শহীদের কথা বলে, সেই সাথে বলে আমাদের গত ৫০ বছরের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার কথা।
মডেল ও অভিনেত্রী দিলরুবা ইয়াসমীন রুহী বলেন, আমরা যারা বাংলাদেশে বড় হয়ে এসেছি তাদের জন্য ব্রিটেনের এরকম স্থাপনায় বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা সেটা বিশাল গর্বের ব্যাপার। গত ৫০ বছর আমাদের অগ্রযাত্রা আর অর্জনের ছিলো যা আগামী শত শত বছর ধরে এগিয়ে যাবে। সেই এগিয়ে যাওয়ার গল্প শুরু হলো আজ এই টাওয়ার ব্রিজ থেকে।
এই আয়োজনে বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক বদলের সাথে জড়িত কিছু চরিত্র যেমন কাজী নজরুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতা, বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূপক উপস্থিতি ছিলো।
ব্রিটেনের সবচেয়ে আইকোনিক স্থাপনা যা দেখার জন্য বছরে ৩০ লাখ পর্যটক ভিজিট করেন। সেই টাওয়ার ব্রিজ বাংলাদেশের পতাকার রঙে আলোকিত হবে যা সারা পৃথিবীর বাংলাদেশীদের জন্য গৌরবের।