বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বা ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তাই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসীর যেন আগ্রহের শেষ থাকে না। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতেই গুঞ্জন শুরু হয়। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা নিয়ে চলে গভীর বিশ্লেষণ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচনায় থাকা দুটি দল হলো- ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান। ঐতিহাসিকভাবেই দল দুইটির নীতিও ভিন্ন।
সঙ্গত কারণেই দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সব সময়ই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট পদে সর্বোচ্চ দুই বার নির্বাচিত হওয়া যায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পরপর দুইবার ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে রিপাবলিক দল থেকে নির্বাচন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যদিকে ডেমোক্রেট দল থেকে হিলারি ক্লিনটন।
ওই নির্বাচনে ট্রাম্প বিজয়ী হয়ে চার বছর অর্থাৎ পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন। নানা আলোচনা-সমালোচনা কাটিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ করেন তিনি। তবে পরবর্তী মেয়াদে ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে হেরে যান। ট্রাম্প তার শাসনামলে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েন করোনা মহামারি নিয়ে।
সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের পর কেউ হেরে গেলে আলোচনায় থাকেন না। অতীত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, অনেকেই নিজেকে বিভিন্নভাবে গুটিয়ে নেন সব কার্যক্রম থেকে। কোনো কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ব্যস্ত থাকেন অতীত প্রেক্ষাপট নিয়ে, পরবর্তী প্রেসিডেন্টের সমালোচনা থেকেও অনেকে বিরত থাকেন আবার কেউ কেউ হয়তো লাইব্রেরিতে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো আলোচনায় আছেন তিনি। সব সময় বাইডেনের সামালোচনায় মুখর থাকতে দেখা যাচ্ছে তাকে। ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে চলতি বছরই স্পষ্ট হবে যে, তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে আসবেন কিনা।
আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বড় কোনো শারীরিক জটিলতা তৈরি না হলে আবারও নির্বাচনে আসতে পারেন ট্রম্প। অধিকাংশ রিপাবলিকান ভোটাররা চান ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসুক। এজন্য ফান্ড সংগ্রহের কাজও চলছে। যেদিন ট্রাম্প অফিস ছড়েন সেদিন রিপাবলিকান চিয়ারলিডাররা বিশেষ করে গ্রাহাম তাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়েছিলেন দলের নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য।