দুই দিন বৃষ্টির পরপরই সারা দেশে হাড়কাঁপানো শীত নেমেছে। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের পাশাপাশি কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। সকালে রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিললেও এখনো কুয়াশার রেশ কাটেনি। এ ছাড়া দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং সিলেট অঞ্চল কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে। তীব্র ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতি ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারে। আর ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শীত কমে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
এর মধ্যে দেশের ৮টি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। এগুলো হলো নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, পাবনা, মৌলভীবাজার ও চট্টগ্রাম।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে জানান, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও দেশের ভেতরে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘপুঞ্জের ফলে কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর আসা এ শীত তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হতে পারে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের কোনো কোনো স্থানে তা ইতোমধ্যে শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শনিবার সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে হয়েছে ৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ২ থেকে কমে হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ৫, রংপুরে ১০ দশমিক ৪, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৪, ডিমলায় ৯ দশমিক ২, নওগাঁয় ১১ দশমিক ৩, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ২, চুয়াডাঙ্গায় ১৪ দশমিক ৪ এবং যশোরে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের গতকাল রোববার সন্ধ্যার পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিনে তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও রাতে শীত বাড়বে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। তবে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোয় কুয়াশা বেশি পড়তে পারে।
এদিকে পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। তবে ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে অনেক দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষকে ছুটতে দেখা গেছে।