বেতন ভাতা না পেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত আফগান কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্টে তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আফগান কূটনীতিকদের বেতন দেওয়া হয়নি। ওয়াশিংটনে আফগানিস্তানের দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসে আফগান কনস্যুলেটে কাজ করেন কয়েক ডজন আফগান কূটনীতিক।
তারা রাষ্ট্রহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। নতুন কোনো চাকরিপ্রাপ্তিতেও তাদের অনুমতি নেই।
আফগান দূতাবাসের উপ-প্রধান আব্দুল হাদি নেজরাবি বলেন, এটা আমরা কোনোভাবেই চাইনি । কিন্তু এটা এমন এক পরিস্থিতি যা আমাদের ওপরেই পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জমানো কিছু অর্থ দিয়ে জীবন পরিচালনা করছি। আত্মীয়দের থেকে ঋণ নিতে নিতে হচ্ছে। কেউ কেউ চিকিৎসা ব্যয়ও মেটাতে পারছে না।
শঙ্কা নিয়ে হাদি নেজরাবি আরও বলেন, আমরা খুব সম্ভবত বেশি দিন এখানে থাকতে পারব না। যেভাবে আছি, একদিন তা শেষ হবে। এখনও এখানে প্রচুর কাজ করার সুযোগ আছে। কিন্তু একটি পথ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারব না।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আহমেদ খান অন্দার বলেন, দ্য ইসলামিক আমিরাতের (আফগানিস্তান) সঙ্গে রাশিয়া, চীন, ইরান ও পাকিস্তানের সঙ্গে এখনও শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করেছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি স্মারকলিপিতে জানিয়েছে, আফগান কূটনীতিকদের ৩০ দিনের মধ্যে নতুন আশ্রয় ও বৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ তারেক ফারহাদি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু আফগান কূটনীতিকদের থাকার অনুমতি দেবে না; যদি না তারা নতুন কাজের সন্ধান না পান।
এ বিষয়ে ইসলামিক আমিরাত অর্থাৎ আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।