ইউক্রেনে হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাশিয়া–এমনটাই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। এরই মধ্যে রুশ সেনাপ্রধানের কাছে হামলার আদেশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। যুদ্ধ এড়াতে পুতিন আলোচনায় বসতে রাজি বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ফোনালাপে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে সমস্যা সমাধানে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও কথা হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের। সংকট সমাধানে রুশ প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন বরিস জনসন। তবে যেকোনো আলোচনায় ইউক্রেনের বক্তব্যকেই প্রাধান্য দেবেন বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সংকট নিরসনে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে দুই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলা চালাতে রুশ সেনাপ্রধানদের কাছে হামলার আদেশ পাঠানো হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্য বলছে, যেকোনো সময় হামলা শুরু করতে পারেন ইউক্রেন সীমান্তের কাছে থাকা রাশিয়ার সেনারা।
স্থানীয় সময় রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বেলারুশ সীমান্তে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা সামরিক মহড়ার অজুহাতে অবস্থান করছে। এটিকে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছেন তিনি। যদিও বরাবরের মতো রাশিয়ার দাবি, যুদ্ধ নয় বরং নিরাপত্তামূলক মহড়া চালাতেই সেনা জড়ো করা হয়েছে।
এদিকে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যকার উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ও অনিশ্চয়তার মুখে ইউক্রেনে অবস্থানরত নিজ দেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের দেশটি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। স্থানীয় সময় রোববার ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।